মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
ড. আব্দুল ওয়াদুদ
গীতাঞ্জলিতে ১৫৭ টি গীতি কবিতা লিখে তিনি নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। সম্পদ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু জ্ঞান চিরস্থায়ী। একদিন আমিও থাকব না, শেষ হয়ে যাবে আমার সব অর্জন ও সম্পদ, কিন্তু তখনো হয়তো কোথাও না কোথাও আমার রচিত ‘চেতনার আলোকে’ বইটি খুঁজে পাওয়া যাবে। হয়তো বইটি আশ্রয় পাবে কোন আত্মীয়ের বাড়িতে, ভক্ত-অনুরাগীর সংগ্রহে , না হয় কোন লাইব্রেরির আলমারিতে। বইটির গবেষণাধর্মী তথ্য ও উপাত্ত হয়তো কারো গবেষণার সহায়ক হবে। কেউ হয়তো বইটি পাঠ করে আমাকে স্মরণ করবে, হয়তোবা ‘চেতনার আলোকে’ বইটি কোন পাঠকের চেতনাকে আলোকিত করবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জানা-অজানা তথ্য এবং আমার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণসহ সাহিত্য, সুস্থতার জন্য ফিকামলি, প্রভৃতি গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী কলাম বইটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি, আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু, সততাও মহানুভবতার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত প্রয়াত ডাক্তার এস. এ মালেক স্মরণে উৎসর্গকৃত ৫৩২
পৃষ্ঠার এই বইটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য ও বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের নেপথ্যের নিরলস সংগ্রামের কথা জানতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বইটি শুধু আনন্দই দেবে না, পাঠকের জ্ঞানের পরিধিকেও বিস্তৃত করবে। পরিশেষে এদেশের এক জীবন্ত কিংবদন্তি, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ঘাতক যুদ্ধপরাধীদের বিচার আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, দেরাদুনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেল, আমার পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী স্যারের ‘চেতনার আলোকে’ বইটিতে দেওয়া সুচিন্তিত মুখবন্ধ আমার জীবনে এক পরমপ্রাপ্তি। স্বনামধন্য বই বিপণন প্রতিষ্ঠান ‘পাঠক সমাবেশ’ এর পরিবেশনায় আগামী একুশে ফেব্রুয়ারি বইটি বাজারে আসছে।